ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

 রাজধানীতে বিসিকের মধু কর্মশালা

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২২:২৮, ২৬ নভেম্বর ২০১৮

রাজধানীর এসএমই ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে সোমবার সকালে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক) ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্পের আয়োজনে বাংলাদেশি মধু ব্র্যান্ডিং নিয়ে দিনব্যাপী এক নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের চূড়ান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মশালায় শিল্প মন্ত্রণালয়, বিএসটিআই, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, বন বিভাগ, মধু প্রক্রিয়াজাতকারক-রফতানিকারক, বিসিক, এসএমই ফাউন্ডেশন, গবেষক, বিশেষজ্ঞ, বিভিন্ন অধিদপ্তর, মৌ- চাষী এবং মৌ-চাষীদের সংগঠনগুলো অংশগ্রহণ করেন।

এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিকের চেয়ারম্যন মুশতাক হাসান মু. ইফতিখার। এ সময় এসএমই ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, দেশে যে পরিমান মৌ-চাষী আছে তা দিয়ে মধুর উৎপাদন দ্বিগুন করা সম্ভব। এজন্য মধু উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিয়ে একটি কার্যকরী ফোরাম তৈরি করে কাজ করতে হবে। এছাড়া মধুর মানের দিকেও নজর দিতে হবে।

কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, প্রিজম প্রকল্পের সিনিয়র এক্সপার্ট  মাতেজা ডামেস্টিয়া, যিনি ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের প্রিজম প্রকল্পের আওতায় ৮ মাসের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে মধু ব্র্যান্ডিং নিয়ে কাজ করছেন।

মূল প্রবন্ধে মধুর বৈশ্বিক উৎপাদন-বাজার,বাংলাদেশে মধু চাষ এবং উৎপাদনের চিত্র তুলে ধরা হয়। এতে বলা হয়, চীন বছরে প্রায় পাঁচ লাখ মেট্রিক টন মধু উৎপাদন করে। তুরস্কে এক লাখ মেট্রিক টন, যুক্তরাষ্ট্রে ৮০ হাজার এবং ভারতে ৬০ হাজার মেট্রিক টন মধু উৎপাদিত হয়। উৎপাদনের পাশাপাশি মধু রফতানিতেও শীর্ষে আছে চীন। দেশটি প্রতিবছর প্রায় ৩শ ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধু রফতানি করে।

এছাড়া নিউজিল্যান্ড ২শ ২৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, জার্মানি ১শ ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, স্পেন ১শ ১৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, আর্জেন্টিনা ১শ ৭৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ও ইউক্রেন ১শ ৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধু রফতানি করে। অন্যদিকে সবচাইতে বেশি মধু আমদানি করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

 এ দেশটি বছরে প্রায় ৫শ ৭৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধু আমদানি করে। এছাড়া জার্মানি ২শ ৯১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, স্পেন ১শ ৭৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যুক্তরাজ্য ১শ ৪১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, ফ্রান্স ১শ ৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের মধু আমদানি করে।

এদিকে, বাংলাদেশে আনুমানিক ২৫ হাজার মৌ-চাষী আছে যা দিয়ে বছরে মাত্র ৩ হাজার টন মধু উৎপাদিত হয়। একারণে চাহিদার প্রায় ৭০ ভাগ মধু আমদনি করা হয়। এই মৌ-চাষী দিয়ে বছরে ২৫ হাজার টন থেকে ১ লাখ টন পর্যন্ত মধু উৎপাদন করা সম্ভব জানিয়ে মাতেজা ডামেস্টিয়া বলেন, মধু উৎপাদন এবং প্রক্রিয়াজাতকরণে দক্ষতা বৃদ্ধি করা গেলে এবং ভালো মানের মধু উৎপাদন করা গেলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পর তা বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। মৌ-চাষীদের এলাকা ও ক্লাস্টার ভিত্তিকভাবে সংগঠিত করে প্রয়োজনীয় আর্থিক এবং নীতিগত সহায়তা দেবার কথাও সুপারিশ করা হয়।

কর্মশালায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিল্প মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব, বিসিকের নকশা ও বিপনন বিভাগ এবং প্রিজম প্রকল্পের পরিচালক মাহবুবুর রহমান, বিসিকের পরিচালক (উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ) জীবন কুমার চৌধুরী, শেরে বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপক মোহাম্মদ শাখওয়াত হোসেন, প্রিজম প্রকল্পের টিম লিডার আলী সাবেত, বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের পরিচালক মালা খান, বিসিকের মৌচাষ প্রকল্পের পরিচালক মো. আমিনুজ্জামান।

কেআই/ এসএইচ/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি